মেরিট বনাম মেরিট (১৯৭০)

Merritt v Merritt Case FP BN

মেরিট বনাম মেরিট (১৯৭০)

রেফারেন্স : [1970] 1 WLR 1211

জুরিসডিকশন : ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস

আপিলকারী : মিস্টার মেরিট
বিবাদী : মিসেস মেরিট

ঘটনা :

মিস্টার এবং মিসেস মেরিট ১৯৪১ সালে বিয়ে করেন। ১৯৪৯ সালে তারা বন্ধকের মাধ্যমে অর্থ নিয়ে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন এবং বাড়িটি মিস্টার মেরিটের নামে নিবন্ধন করেন। পরে তারা সম্মত হন যে, বাড়িটি তাদের যৌথ নামে স্থানান্তর করবেন। তবে স্থানান্তরের আগেই মিস্টার মেরিট তার স্ত্রীকে ছেড়ে অন্য একজন নারীর সাথে থাকতে শুরু করেন। এরপর তিনি এবং তার স্ত্রী একটি চুক্তিতে পৌঁছান যে তিনি তার স্ত্রীকে প্রতি মাসে ৪০ পাউন্ড প্রদান করবেন, যেটি থেকে তিনি বন্ধকি বকেয়া হিসেবে ১৮০ পাউন্ড পরিশোধ করবেন। বন্ধকের অর্থ পরিশোধ হয়ে গেলে, মিস্টার মেরিট তার অংশ তার স্ত্রীর নামে হস্তান্তর করবেন এবং স্ত্রী এককভাবে সম্পূর্ণ বাড়ির মালিক হবেন। চুক্তির এই অংশটি লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়।

মিসেস মেরিট বন্ধক পরিশোধ করেন এবং বাড়িটি তার, এই মর্মে একটি ঘোষণাপত্রও গ্রহণ করেন। তবে, মিস্টার মেরিট বাড়ি হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি যুক্তি প্রদান করেন যে, তাদের সম্পর্ক পারিবারিক/দাম্পত্য প্রকৃতি বিবেচনায় করে তারা আইনিভাবে বাধ্যবাধকতামূলক চুক্তি করতে ইচ্ছুক ছিলেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতে, মিস্টার মেরিট আপিল করেন।

ইস্যু : বাড়ির মালিকানা হস্তান্তরের বিষয়ে দুইপক্ষ কি আইনি বাধ্যবাধকতামূলক চুক্তি করতে ইচ্ছুক ছিল?

সিদ্ধান্ত :

মিস্টার মেরিটের আপিল খারিজ করে দেয়া হয়। আদালত উল্লেখ করেন, যখন কোনো পক্ষ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়ায় থাকে বা ইতোমধ্যে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, এমতাবস্থায়, পারিবারিক/দাম্পত্য সম্পর্কের অনুমান করে আইনি সম্পর্ক স্থাপনের কোনো অভিপ্রায় নেই এরূপ ধারণার কোন যৌক্তিকতা নেই। অতএব, উক্ত চুক্তিটি যথেষ্ট স্পষ্ট এবং কার্যকরযোগ্য।

উক্ত চুক্তিপত্রে এটি উল্লেখ ছিল যে,
“উক্ত বিষয় বিবেচনাপূর্বক, তুমি সারিরি, চেসিংটন, ১৩৩ ক্লেটন রোডের বাড়ির সমস্ত খরচ পরিশোধ করবে, যতক্ষণ না বন্ধকি পরিশোধ সম্পূর্ণ হয়। বন্ধকি পরিশোধ সম্পূর্ণ হলে, আমি প্রতিশ্রুতি করি যে সম্পত্তিটি তোমার একক মালিকানায় স্থানান্তর করব।”
স্বাক্ষর : জন মেরিট
২৫শে মে, ১৯৬৬

সুতরাং, বন্ধকের অর্থ পরিশোধের বিষয়টি মিস্টার মেরিটের প্রতিশ্রুতির বিবেচনা হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এবং এটি প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট ছিল যে, পক্ষদ্বয় আইনি চুক্তিতে যুক্ত হতে চেয়েছিল। ফলে, আদালত এই চুক্তিকে বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করেন এবং আপিল খারিজ করে দেন।

সংশ্লিষ্ট প্রবাদ :

ন্যায্যতা (ইক্যুইটি) আইনকে অনুসরণ করে : ইক্যুইটি কোন ঘটনা সংগঠনের পরিবর্তে উদ্দেশ্যের দিকে নজর দেয়; ইক্যুইটি মূলত বিবেচনা করে, একটি কাজ কোন ব্যক্তির কীভাবে করা উচিত ছিল সেদিকে। যেমন : আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে একটি চুক্তি প্রয়োগযোগ্য করার জন্য চুক্তিকারী পক্ষের মাঝে আইনি সম্পর্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্য থাকা আবশ্যক, ইক্যুইটিও এই নিয়ম অনুসরণ করে এবং এটিই আবশ্যক। ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য ইক্যুইটির প্রয়োগ প্রয়োজন।


অনুবাদক :
১. মো. আতিকুর রহমান

নোট : The Case Summary আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং আইনের শিক্ষার্থীদের দ্বারা তৈরি একটি প্ল্যাটফর্ম। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে নির্ভুলভাবে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার ঘটনা ও রায় তুলে ধরার চেষ্টা করি। এই প্ল্যাটফর্মটি কখনোই পূর্ণাঙ্গ আইনের ধারণা প্রদান করে না, আমরা শিক্ষার্থীদের শুধু মাত্র মামলার সারাংশ নির্ভর হওয়াকে নিরুৎসাহিত করি। ধন্যবাদ

Share