লজ বনাম ন্যাশনাল ইউনিয়ন ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লি. (১৯০৭)

লজ বনাম ন্যাশনাল ইউনিয়ন ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (১৯০৭)

লজ বনাম ন্যাশনাল ইউনিয়ন ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড

সাইটেশন : [1907] 1 Ch. 300

জুরিসডিকশন : যুক্তরাজ্য

বাদী : হোয়িট লজ
বিবাদী : ন্যাশনাল ইউনিয়ন ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড

ঘটনা :

হোয়িট লজ তার মায়ের মৃত্যুর পর স্টক ও সিকিউরিটিজ পাওয়ার উত্তরাধিকারী ছিলেন। ১৯০৫ সালে, তিনি একটি ঋণের জামানত হিসেবে এই ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী স্বার্থ টি.এ. গ্রিন-এর নিকট বন্ধক রাখেন। পরবর্তীতে, তিনি বিবাদী প্রতিষ্ঠান (যেটি ছিল মানি-লেন্ডার্স অ্যাক্ট, ১৯০০-এর অধীনে একটি অনিবন্ধিত ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান) থেকে আরও অর্থ ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেন। তারা তাকে (জনাব লজকে) সর্বমোট ২,০০০ পাউন্ড ঋণ প্রদানের বিষয়ে সম্মত হন। যদিও জনাব লজের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারীর স্বার্থ (reversionary interest) এবং জীবন বীমার নথি বন্ধক রাখার ধরণ ছিল সম্পূর্ণ বিক্রয়ধর্মী। লজ ঋণ পরিশোধের অঙ্গীকার করে বিল অব এক্সচেঞ্জ (IOUs) –এ স্বাক্ষর করেন। কোম্পানিটি তাকে অর্থ দেওয়ার আগেই ফি ও সুদ কেটে নেয়, এবং বাকি টাকা তাকে প্রদান করেন।

জনাব লজ ১৯০৬ সালে কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন কোম্পানি এবং তার মধ্যে সংগঠিত চুক্তিটি অবৈধ কারণ কোম্পানিটি মানি-লেন্ডার্স অ্যাক্ট, ১৯০০-এর অধীনে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত ছিল না। এছাড়া তিনি চুক্তিটি বাতিল ঘোষণা করে, জামানতের অর্থ ফেরত দেয়া এবং বিল নবায়নের জন্য প্রদানকৃত ১৫০ পাউন্ড ফেরতের দাবিও জানান।

ইস্যু :
১. মানি-লেন্ডার্স আইন, ১৯০০ এর অধীনে উক্ত ঋণ চুক্তিটি কি অবৈধ ছিল?
২. যদি চুক্তিটি অবৈধ হয়ে থাকে, তবে জনাব লজ কি ঋণের অর্থ পরিশোধ না করেই তার জামানত পুনরুদ্ধার করতে পারতেন?

সিদ্ধান্ত :

আদালত রায় প্রদান করেন যে, ঋণ চুক্তিটি অবৈধ ছিল, কারণ কোম্পানিটি ঋণদাতা হিসাবে নিবন্ধিত ছিল না, ফলে উক্ত চুক্তিটিও বাতিল। তবে, আদালত জানান যে, জনাব লজ ঋণের অর্থ পরিশোধ না করে তার জামানত পুনরুদ্ধার করতে পারবেন না।

আদালত আদেশ দেন যে, জনাব লজকে ১০৭৫ ইউরো পরিশোধ করতে হবে (বিল নবায়ন এবং অন্যান্য ছোটখাট খরচবাবদ ১৫০ ইউরো বাদ দেওয়ার পর)। উক্ত অর্থ পরিশোধের পর, কোম্পানিকে জনাব লজের জামানত ফেরত দিতে হবে, যার মধ্যে তার জীবন বীমা এবং অন্যান্য আইনি নথিপত্র অন্তর্ভুক্ত ছিল। যদি লজ অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হন, তবে মামলা খারিজ করা হবে, তবে গ্রিনের প্রতি বন্ধকটি বহাল থাকবে, যেটি কোম্পানি রাখতে পারবে।

বন্ধক সংক্রান্ত বিষয় ব্যতিত আদালত কোনো পক্ষকেই কোনপ্রকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করেনি।

সংশ্লিষ্ট প্রবাদ :

১. যে ন্যায়বিচার চায়, তাকেও ন্যায়বান হতে হবে : এই নীতির অর্থ হলো, যে ব্যক্তি আদালত থেকে ন্যায়সঙ্গত বিচার প্রত্যাশা করে, তাকে নিজেকেও ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে হবে। যদি কেউ অবৈধ বা অন্যায় পরিস্থিতি থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে এবং নিজের দায়িত্ব পালন না করে, তবে ন্যায়বিচার তাকে সহায়তা করবে না।


অনুবাদক :
১. মো. আতিকুর রহমান

নোট : The Case Summary আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং আইনের শিক্ষার্থীদের দ্বারা তৈরি একটি প্ল্যাটফর্ম। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে নির্ভুলভাবে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার ঘটনা ও রায় তুলে ধরার চেষ্টা করি। এই প্ল্যাটফর্মটি কখনোই পূর্ণাঙ্গ আইনের ধারণাপ্রদান করে না, আমরা শিক্ষার্থীদের শুধু মাত্র মামলার সারাংশ নির্ভর হওয়াকে নিরুৎসাহিত করি। ধন্যবাদ


Cite this Page:

OSCOLA

APA

Bluebook

Share