আব্দুর রাকিব (মো.) (শাহিন) বনাম শেরতাজ খাতুন ও অন্যান্য
রেফারেন্স : 13 BLC (AD) (2008) 137
জুরিসডিকসন : বাংলাদেশ
বাদী : আব্দুর রহমান
বিবাদী – ১ : শেরতাজ খাতুন
বিবাদী – ২ : শাহিনা খাতুন
ঘটনা :
৫,০০১ টাকা দেনমোহর ধার্য পূর্বক বাদী (আব্দুর রাকিব), বিবাদী-১ (শেরতাজ খাতুন) – কে বিবাহ করেন। তাদের কন্যা সন্তান, শাহীনা খাতুন, (বিবাদী-২) এর জন্মের পর, আব্দুর রাকিব তার স্ত্রী ও কন্যাকে, স্ত্রীর পৈতৃকবাড়িতে রেখে আসেন এবং দেনমোহরের অর্থ ও ভরণপোষণ প্রদান বন্ধ করে দেন। এমতাবস্থায়, আব্দুর রাকিবের নিকট তার স্ত্রী ও কন্যাকে ফিরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করলে, আব্দুর রাকির তার শ্বশুর (বিবাদী-১ এর পিতা) -এর নিকট, ৫০,০০০ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এরপ্রেক্ষিতে আবদুর রাকিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে, তিনি দাবি করেন শেরতাজ খাতুনের সাথে কোন প্রকার বিবাহ বন্ধনে তিনি আবদ্ধ হন নি এবং বিবাদী-২ (শাহীনা খাতুন) তার কন্যা নন।
সিদ্ধান্ত :
এ মামলায় আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ ও পারিবারিক আদালতের রায় ও বিভিন্ন তথ্য প্রমাণাদিও উপর ভিত্তি করে বিবাদীদের পক্ষে রায় ঘোষনা করেন। আপিল বিভাগ, বাদী (আবদুর রাকিব) – কে দেনমোহরের ৫,০০১ টাকা শেরতাজ খাতুন (বিবাদী-১) কে প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করেন একই সাথে পূর্বের ভরণপোষণ বাবদ ২০,০০০ টাকা চার কিস্তিতে পরিশোধের আদেশ দেন সেই সাথে শেরতাজ খাতুন (বিবাদী-১) এর পরবর্তী বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে ভরণপোষণ প্রদানের আদেশও প্রদান করেন। একই সাথে, আব্দুর রাকিবকে, বিবাদী-২ (শাহিনা খাতুন) এর জন্ম তারিখ থেকে বিবাহ না হওয়া অবধি সময় পর্যন্ত ভরণপোষণ বাবদ প্রতিমাসে ৩০০ টাকা করে প্রদানের জন্যও আদেশ প্রদান করেন। লিভ টু আপিলের পিটিশন খারিজ করে দেয়া হয়।
অনুবাদক :
১. ফাহিম আহমেদ
২. মো. আতিকুর রহমান
নোট : The Case Summary আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং আইনের শিক্ষার্থীদের দ্বারা তৈরি একটি প্ল্যাটফর্ম। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে নির্ভুলভাবে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার ঘটনা ও রায় তুলে ধরার চেষ্টা করি। এই প্ল্যাটফর্মটি কখনোই পূর্ণাঙ্গ আইনের ধারনা প্রদান করে না, আমরা শিক্ষার্থীদের শুধু মাত্র মামলার সারাংশ নির্ভর হওয়াকে নিরুৎসাহিত করি। ধন্যবাদ